ফতুল্লা থানাধীন কতুবপুর নয়ামাটি এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে চলছে অর্ধশতাধীক বাড়ীঘর। দীর্ঘ বহু বছর ধরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করলেও নেই তিতাস কর্তৃপক্ষের কোন অভিযান। ফলে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে তার রাজস্ব থেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত জুয়েল ওরফে ম্যাচলাইট জুয়েল ও আশোক আলীর নেতৃত্বে প্রায় বছর তিনেক আগে নয়ামাটি এলাকার সুপার স্টার বাল্ব ফ্যাক্টরি থেকে প্রায় অর্ধশতাধীক বাড়ীঘর ও চায়ের দোকানে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। সরকার ওই গ্যাস বিলের টাকা না পেলেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানাগেছে, ৫ আগস্টের পর আজমেরী ওসমানের সকল দোসররা পালিয়ে গেলেও কোন এক রহস্যজনক কারণে এখনও এলাকায় বহাল রয়েছে জুয়েলরা। তারা এখনও আগের মতই প্রভাবখাটিয়ে চলছে। এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীরাও রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার সবাই জানে নয়ামাটির ইউরোটেক্স গার্মেন্টসের পূর্বদিকের রাস্তার প্রায় অর্ধশতাধীক বাড়ীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ আছে। কয়েক মাস পর পর এলাকার অন্যান্য স্থানে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালালেও রহস্যজনক কারণে এখানে অভিযান পরিচালনা করে না। শুধু তাই নয়, আমরা জানতে পেরেছি পূর্ব লামাপাড়া ধানের বাড়ী ও মার্কার মসজিদের আশেপাশেও অনেক অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। সেখানেও রহস্যজনক কারণে অভিযান পরিচালন করা হয় না। তারা (তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ) এ অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে অবগতি থাকার পরও কি কারণে এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে না, এটা আমরা অবগত না। আমরা চাই এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ দ্রুত অভিযান পরিচালনা করুক। কেননা, এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে আমরা বৈধ সংযোগকারিরা ঠিকমত গ্যাস পাচ্ছিনা। যারফলে প্রায় সময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের।