নারায়ণগঞ্জ জেলা মটরস্ ওয়ার্কশপ মেকানিক্স ইউনিয়ন কার্যালয়ে এখনও রয়েছে হামলা ও ভাঙচুরের ক্ষতচিহ্ন। কার্যালয়ের মেঝেতে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিও। ভাঙ্গা চেয়ারগুলোও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
জাতীয়তাবাদি প্রজন্ম দল জেলা শাখার আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে দেখা যায় এমন চিত্র। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের নির্দেশে তিনি এ কার্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন বলে জানাগেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিম জানান, কোন হামলা বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপকেই আমরা সমর্থন করি না। তা সে যে দলেরই হোক। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোসিদের যেন শাস্তির আওতায় আনা হয়। কেউ যেন পাড় পেয়ে না যায়।
তিনি বলেন, আপনাদের সাথে খান সাহেব (জাকির খান) আছে। আপনারা কোন চিন্তা করবেন না। দ্বিতীয়বার যদি এ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে হামলার চেষ্টা করা হয়, তাহলে এখানে শ্রমিক নেতারা আছেন আপনারা প্রতিরোধ করবেন আমরা আপনাদের সাথে আছি। আমি আবারও বলছি, দ্বিতীয়বার যদি এ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে হামলার চেষ্টা করা হয় কঠোর ভাবে প্রতিরোধ করা হবে, দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা ফরিদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য ফারুক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা মটরস্ ওয়ার্কশপ মেকানিক্স ইউনিয়নের সভাপতি মো: আলগীর হোসেন, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সালেহ্ আহমেদ রানি প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জেলা মটরস্ ওয়ার্কশপ মেকানিক্স ইউনিয়ন কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও সভাপতিতে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনায় ৭ জনকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইউনিয়নটির সভাপতি আহত আলমগীর হোসেন। আসামীরা হলেন, দিপঙ্কর হাওলাদার, মো: স্বপন, উত্তম চন্দ্র দাস, মো: ইকবাল, জসিম, মো: জুয়েল ও তাজুল ইসলাম।