টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমার মাঠে হামলাকারি সাদপন্থিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নারায়ণগঞ্জে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারক লিপি দিয়েছে জেলার উলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের তাউহীদী জনতা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক ও জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদাকের কাছে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন তারা।
স্মারক লিপিতে তারা মোট ৬টি দাবির কথা তোলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:
১ : রাতের আঁধারে তাবলীগের ঘুমন্ত নিরীহ মুখলেস সাথীদের ওপর অতর্কিত হামলাকারী সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে।
২ : নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল মসজিদে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩: নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে কালিবাজার, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ মারকায নামে সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার আখড়া স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।
৪ : নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে যেসব সন্ত্রাসী টঙ্গীর নৃশংস হত্যাকা-ে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা তাদের মদদ জুগিয়েছে তথা শাহীন ইবরাহীম, মনির টাওয়ারের মনির, আসাদ, আবু তাহের, ইঞ্জি. মিঠু, আবিদ, সোহেল, জালালুদ্দীন রাসেল, আক্তার, মোফাজ্জল, আজিজুল হক গং-এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়ে অনতিবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
৫ : সন্ত্রাসীদের গডফাদার ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফ, তার ছেলে উসামা, মুআয বিন নূর, জিয়া বিন কাসেম, আব্দুল্লাহ মনসুর, রেজা আরিফসহ সকল গডফাদারকে দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির আওতায় আনতে হবে।
৬ : কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ ও তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে তাদের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ। হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও স্মারক লিপিতে তারা বলেন, আমাদের কাছে সংবাদ আছে, টঙ্গীর তুরাগ নদীর পশ্চিম পার্শ্বে মসজিদে বেলালে বর্তমানে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে। তারা আবারো সুযোগ বুঝে হামলা করতে ওঁত পেতে আছে। অতি দ্রুত সেখানে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে খুনীদের গ্রেফতার করে বেলাল মসজিদ আলেমগণের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।
স্মারক লিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা কোরবান উদ্দিন, মেজবাহ্ উদ্দিন, মাসুদ, জাকির, আলম, মো: খোরশেদ আলম, রাজু, আল আমিন প্রমূখ।