এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, ফের জাকির খানের উত্থানের পেছনে একঝাঁক তরুণ অকুতোভয় সৈনিকদের অবদান ছিলো অনেক বেশি। সেই সব তরুণরা ভয়-ডরকে উপেক্ষা করে জাকির খানের মুক্তির জন্য দীর্ঘ প্রায় ষোলটি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছে। এ সংগ্রাম করতে গিয়ে তারা নানাভাবে হামলা মামলার এবং কারানির্যাতিত হয়েও কখনো রাজপথ থেকে সড়ে দাঁড়ান নি। বরং জাকির খানের মুক্তির দাবিতে বজ্রকন্ঠে আরও বেশি আওয়াজ তোলেছেন। তেমনি একজন তরুণ সাহসী নেতা নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ। যিনি কারানির্যাতন থেকে শুরু করে বহুত্যাগ শিকার করেও জাকির খানের পিছু ছাড়েন নি।
জানাগেছে, জাকির খানের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি দীর্ঘ বহুবার কারানির্যাতিত হয়েছেন। ততকালিন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে মামলার জন্য দিনের পর দিন থেকেছেন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। এসময় তার পরিবার অনেক কষ্টে দিনযাপন করলেও পরিবারের কথা না ভেবে জাকির খানের মুক্তির নেশায় মেতে ছিলেন এই নেতা। তাকে আজ অব্দি কোনভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি। তিনি আজও জাকির খানের মুক্তির জন্য একের পর এক আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তার একটাই উদ্দেশ্য প্রাণের নেতা জাকির খান মুক্তি পেলেই তার শান্তি। এর বিনিময়ে তার কিছুই চাওয়ার নেই।
এ বিষয়ে কাঞ্চন বলেন, কিছু পাওয়ার জন্য কিংবা পদ পদবীর আশায় কখনো রাজনীতি করি না। আমার নেতা জাকির খানকে ভালোবেসে এবং শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। এতে কেউ আমাকে মূল্যায়ন করুক আর না করুক, আমি এগুলো ভাবি না। জাকির খানের মুক্তি ব্যতিত আমার তেমন কিছু চাওয়া পাওয়া নেই। তবে যার জন্য এতকিছু, সেই ভালোবাসার মানুষটি যেন আমাকে কখনো না ভুলে, এটাই আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া।