মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

বন্দরে ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিরতণ

সিটি নিউজ / ১৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫

মহান বিজয় উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় বন্দর হাফেজীবাগ এলাকায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো: মনির হোসেন খান ও প্রধান বক্তা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজীব মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি মনির হোসেন খান তার বক্তব্যে বলেন, সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে সর্বনাশা নেশার করাল গ্রাস থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে খেলাধুলা এক অন্যতম মাধ্যম। যুব সমাজের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ ও দেশাত্ববোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খেলাধুলা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই মিঠুকে বলবো, তুমি এ ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগী অব্যহত রাখো। যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হয় আমাকে বলো, আমি তোমাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার হাত ধরেই দেশে এত বড় পরিবর্তন হয়েছে। তাই আমরা ছাত্রদের লৌহকঠিন করে গড়ে তোলতে চাই। আর এ জন্য তাদেরকে অবশ্যই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও সমানভাবে জোর দিতে হবে। আমাদের দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি খেলাধুলার প্রতি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন। এ জন্য দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় বিভিন্ন ক্লাব গড়ে উঠেছিলো। ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলাধুলায়ও উন্নত করেছিলো।

তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকার খেলাধুলার নামে শুধুমাত্র লুটপাট করেছে। বিভিন্ন ক্লাবের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। কিন্তু খেলাধুলার কোন উন্নতি করতে পারেনাই। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আগের মত খেলাধুলার প্রতি জোর দেয়া হবে। ক্রীড়াঙ্গণ উন্নতিকরণের জন্য যা যা করা দরকার আমাদের দল সেটা করবে। কারণ, খেলাধুলার উন্নতি হলে সমাজ থেকে মাদক ও সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে। ফলে সমাজ ও দেশ হবে সুন্দর এবং শক্তিশালী।

প্রধান বক্তা অ্যাডভোকেট রাজীব মন্ডল বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশের স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যেভাবে মোবাইল ফোনে আসক্ত হচ্ছে, তাতে আমাদের সামনে একটি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ জাতি অপেক্ষা করছে। শিক্ষার্থীরা এখন মাঠে যেতে চায় না। তারা এখন স্ক্রিনেই সময় কাটায় বেশি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের দেশে একদিকে খেলাধুলা এবং শারীরিক শিক্ষা কমছে, অন্যদিকে ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানারকম শারীরিক ও মানসিক রোগ বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় বর্তমান প্রজন্ম শারীরিকভাবে দুর্বল হয় এবং মানসিকভাবে বিষন্নতায় ভোগে, বিপথগামী ও মাদকাসক্ত হয়ে ওঠে এবং নিজেদের কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত করে। আবার অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়। আমি মনে করি, এসব থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো খেলাধুলা। খেলাধুলা ও শারীরিক শিক্ষাকে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার স্তরগুলোয় বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। তাহলেই আগামী প্রজন্ম হবে শক্তিশালী ও মেধাসম্পন্ন। আজকে যারা এ ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছেন বাংলাদেশের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি বলতে চাই, আপনারা এ ধরনের অনুষ্ঠানে যখনই আমাকে ডাকবেন কাছে পাবেন।

সভাপতির বক্তব্যে শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু বলেন, আমরা বিগত দিনে দেখেছি খেলাধুলাকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিলো। ভালো ভালো প্লেয়ারদের প্রলোভন দিয়ে ফ্যাসিস্টদের দলে ঢুকানো হয়েছিলো। অপরদিকে প্রতিটি জেলার ক্লাবগুলোকেও সমানভাবে দলীয়করণ করা হয়েছিলো। ফলে মেধা থাকলেও ভালো ভালো প্লেয়াররা ক্লাবগুলো খেলতে পারেনাই। এভাবে অনেক ভালো ভালো প্লেয়ারকে আমি ঝরে যেতে দেখেছি। তাই আমরা চাই, আগামীতে যেন ক্লাবগুলোকে স্বাধীনতা দেয়া হয়। কোন ক্লাব কিংবা ক্রীড়াঙ্গণকে যেন কোনভাবেই রাজনীতি করণ করা না হয়। মেধার ভিত্তিতে যেন প্লেয়াররা ক্লাবগুলোতে খেলতে পারে। আমি মনে করি, তাদেরকে সকল রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে পারলে দেশে খেলাধুলার উন্নতি হবেই।

তিনি বলেন, আমার নেতা জাকির খানের নির্দেশে যুবসমাজকে মাদক ও সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখার জন্য আমরা এ ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি। ভাবতে পারেনি আমরা এতটা সাড়া পাবো। আপনাদের উৎসাহে আমরা অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমি এ জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমার প্রাণপ্রিয় নেতা জাকির খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কেননা, তিনি আমাদের নির্দেশ না দিলে হয়তো আমরা কখনোই এমন আয়োজন করতে সাহস পেতাম না। তাই আপনাদের সকলের কাছে আমি জাকির খানের জন্য দোয়া প্রার্থণা করছি। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, যাতে তিনি দ্রুত কারামুক্তি হয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে।

বক্তব্য শেষে মহান বিজয় উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দরা।

বন্দর ২২নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ ইমরান খান ও ২৪নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো আবুল হাসান খোকনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর মৎসজীবী দল নেতা মোঃ রিপন, আসাদুজ্জামান সানী, বন্দর থানা বিএনপির নেতা বাবুল, বন্দর থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ জলিল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাস্তান, ২২নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল, ২৩নং ওয়ার্ড মৎস্যজীবী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আলী, বন্দর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ হাসান মাহমুদ, মৎস্যজীবী দল নেতা জাকির, ইমরান পাঠান, সুমন, মহিউদ্দিন, মনতাজ, জাহাঙ্গীর, ইমান, মনির, জাবেদ, আমান প্রিয়ার আলী, আজীম, ফয়সাল, সফিকুল, ছালাম, আনার, জোবায়েদ, জুম্মান, মামুন, হাছান, রানা ও রাজনসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই