বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, যারা তরুণ প্রজন্মের কথা বুঝতে ব্যর্থ হবেন, আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে তাদেরও সেই পরিণতি হবে। পরবর্তীসময়ে যারাই নীতিনির্ধারণের ফোরামে আসবেন, তারাও যদি বুঝতে ব্যর্থ হন তাহলে তাদেরও আওয়ামী লীগের পরিণতি হবে। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে আমরা সে কলম ভেঙে দেবো।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লিফলেট বিতরণের শুরুতে পথসভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও পথসভার আয়োজন করা হয়।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের হারানোর কিছুই নেই। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে পুনর্বাসিত হবে কি না সেটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে ৫ আগস্ট। আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হবে কি না সেটা এখন প্রাসঙ্গিক আলাপ নয়। বরং আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যারা পুনর্বাসনের কথা বলবেন, আমরা ধরে নেবো গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ যে জাহিলিয়াতের রাজনীতি কায়েম করেছিল তাদেরও ইন্ধন ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি আগে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম লিখবে আমরা সে কলম ভেঙে দেবো। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে মিডিয়া কথা বলবে সে মিডিয়ার বিপক্ষে আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে, জীবন দিতে হয়েছে।’
তরুণদের প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা জনকল্যাণে কাজ করতে পারিনি, রাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে উঠতে পারিনি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম বঞ্চিত হয়েছে। বঞ্চিতের ক্ষোভ থেকে আমরা তরুণ প্রজন্ম ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ করেছি। পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মিত হবে অতীতের রাজনীতির অভিজ্ঞতা, তরুণ প্রজন্মের ভয়হীন মনোভাবের সংমিশ্রণে। এখানে তরুণদের মাইনাস করার চিন্তা করা যাবে না।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সহ-মুখপাত্র আরেফীন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী, সাবিত আল হাসান ও তামিম আহমেদ।