তরুণ উদ্যমী পরিশ্রমী ‘নিউ লিপি হোসিয়ারী এন্ড গার্মেন্টস’ এর প্রোপ্রাইটর পারভেজ মল্লিকের ১০ নাম্বারে আস্থা রাখতে চাচ্ছে হোসিয়ারী ব্যবসায়ীরা। পারভেজ মল্লিক বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে বদু প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে এবারের এ নির্বাচনে নতুন মুখ হওয়া সত্বেও পারভেজের উপর আস্থা রাখছেন ভোটাররা। কারণ, পারভেজ এমনই একজন তরুণ যাকে দিনরাত যেকোন সময় বিপদে আপদে পাশে পান হোসিয়ারী ব্যবসায়ীরা। নিজে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও ব্যবসায়ীদের দলীয় পরিচয় যেটাই হোক না কেন, সকল দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে এবং সকল ধর্মের মানুষ তথা ব্যবসায়ীদের সাথে মিলে মিশে থাকেন তিনি। তাই সকল হোসিয়ারী ব্যবসায়ীরাও তাকে ভীষণ ভালোবাসেন এবং স্নেহ্ করেন।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন পুরোনো হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে তারা জানান, পারভেজ খুব মিশুক টাইপের মানুষ। সদা হাস্যোজ্জল ও ভীষণ মজার মানুষ। ব্যবসায়ীদের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ এবং জুনিয়রদের প্রতি তার যে স্নেহ্ আচরণ সত্যিই সবার মন কেড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, এ ছেলেটাকে আমরা যখনই ডাক দেই তখনই ছুটে আসে। শুধু ছুটে আসে বলতে ভুল হবে কারেন্টের মত ছুটে আসে। একবার জিজ্ঞেসও করেনা, কি কারণে ওকে ডাকছি।
তারা বলেন, জানি তিনি বিএনপি করেন। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ আমলেও আমরা তাকে যতবার আমাদের প্রয়োজনে ডেকেছি, কাছে পেয়েছি। একটিবারের জন্য হলেও না করেন নি। তিনিতো তখন হোসিয়ারী সমিতির পরিচালন ছিলেন না। কিন্তু তবুও কেন তিনি ছুটে আসতেন। অবশ্যই বলবো, হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের জন্য তিনি কাজ করতে চান। এবং এ কাজ করার প্রবণতাই আজকে তাকে আমাদের সামনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তাই বলতে চাই, তাকে যদি আমরা ভোট না দেই কেন জানি মনে হয় এ ছেলেটার প্রতি অবিচার করা হবে। তবে আমরা খোঁজ নিয়েছি এবং নিজেরাই অনেকবার কথা বলেছি, দেখেছি আল্লাহ্’র অশেষ রহমতে পারভেজের ফিল্ড অনেক ভালো। আশাকারি আগামী ৩ তারিখে বিপুলভোটে পারভেজের ১০ নাম্বারকে জয়যুক্ত করবে।
এ বিষয়ে পারভেজ মল্লিক বলেন, আসলে আমি হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের জন্য কি করেছি, কি করিনি তার বিচার তারাই করবে। তাছাড়া আমিতো তখন অ্যাসোসিয়েশনের কোন দায়িত্বে ছিলাম না। তবুও এর বাইরে থেকে যতটুকু পেরেছি আমার ব্যবসায়ী ভাইদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। মূলত তাদের ভালোবাসা ও স্নেহ্ই আমাকে আজকে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। আমি হোসিয়ারী ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করতে চাই। যেহেতু আমি তাদের অনুপ্রেরণায় প্রার্থী হয়েছি, আশাকরছি তারা আমাকে কাজ করার সেই সুযোগটা দিবেন। তারা যদি আমাকে নিজের সন্তান বা ভাই কিংবা ভাতিজা মনে করে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে, তাহলে কথা দিচ্ছি আমি তাদের স্বার্থরক্ষায় এবং এ হোসিয়ারী শিল্পকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বদা তাদের পরামর্শেই কাজ করবো।