আওয়ামী শাসনামলে দমন-পীড়ন আর হয়রানিমূলক মামলা ও হামলায় অনেকটাই কোণঠাসা ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এক কথায়, এ জেলায় প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি তারা। কিন্তু ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরায় সারা দেশের ন্যায় এ জেলায়ও জামায়াতের জোরালো সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এ রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সভা সমাবেশ করতে দেখা গেছে। এর সাথে নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের আগমন সত্যিই এ জেলার নেতাকর্মীদের আরও বেশি উজ্জীবিত করে তোলেছে। তার আগমনকে কেন্দ্র করে এখন নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা এবং সেই সাথে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতিও।
জানাগেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমি ডা. শফিকুর রহমান আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ সফরে আসবেন। এদিন ফতুল্লা থানাধীন ইসদাইরস্থ ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ জনসভা করতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জামায়াত। ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ডা. শফিকুর রহমানের উপস্থিত থাকার কথা।
এদিকে এ জনসভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তারা ইতোমধ্যেই প্রস্তুতিমূলক সভা ও সুধী সমাবেশও করেছেন। এরই সাথে চলছে ব্যানার, প্যান্ডেল, মঞ্চ ও গেট নির্মাণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ। জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক জমায়তের লক্ষ্যে জেলাজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। নারায়ণগঞ্জ জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা প্রায় প্রতিদিনই সভাস্থল পরিদর্শন করে মঞ্চ ও প্যান্ডেলসহ অন্যান্য কাজ তদারকি করছেন। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও জনসভায় উপস্থিত থাকার জন্য চিঠির মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে সমমনা রাজনৈতিক দল, নানা শ্রেণী ও পেশার গণমান্য ব্যক্তিবর্গদের। ওই জনসভায় নারায়ণগঞ্জের জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশাল শোডাউন করে ইতিহাস রচনা করতে চাচ্ছে বলেও জানাগেছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জামায়াতের নেতাকর্মীরা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বন্দুকের নলের মুখে নারায়ণগঞ্জের কোথাও নিরাপদে প্রাণ খুলে সাংগঠনিক কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। আগামী শুক্রবার আমাদের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমানের আগমনকে ঘিরে জেলায় আমাদের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের রব বিরাজ করছে। নেতাকে সর্বোচ্চ সম্মান জানাতে ও নির্দেশনা পেতে ওই দিনের ওই সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নিবে। এ নিয়ে আমাদের ব্যাপক সাংগঠনিক প্রস্তুতি চলছে এবং আমাদের সেই প্রস্তুতি প্রায় সমাপ্ত হওয়ার পথে।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, আপনাদের নিকট আমাদের একটাই আহ্বান থাকবে যেহেতু এটি একটি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। যেহেতু আপনারা দয়াকরে ওই দিন অন্যকোন কাজ হাতে রাখবেন না। দল ও দেশের স্বার্থে আপনারা জনসভায় উপস্থিত থেকে এ সভাকে সাফল্যমন্ডিত করে তোলবেন। আপানাদের সহযোগীতা পেলে ইনশাআল্লাহ্ আমরা সফল হবোই।