রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

আসছে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি

ত্যাগীদের মূল্যায়ন চান তৃণমূল

সিটি নিউজ / ৫০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ফাইল ছবি

আসছে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি। ইতোমধ্যেই পদ পদবী পাওয়ার আশায় কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে ত্যাগী নেতাদের পাশাপাশি অনেক হাইব্রিড নেতারাও রয়েছে বলে জানাগেছে। এদিকে থানা কমিটির বিভিন্ন পদে নিজস্ব লোকদের রাখার জন্য মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রে সমানতালে তদবিরও চালিয়ে যাচ্ছেন। শীর্ষ নেতারা নিয়মিত কেন্দ্রে গিয়ে সংগঠনটির হাইকমান্ডের সাথে আলাপ-আলোচনা করছেন বলেও জানাগেছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন সকল থানা কমিটি।

এদিকে বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটিতে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজন অন্যতম। বিএনপির চরম দুর্দিনে মাঠে থেকে আওয়ামী লীগ ও পুলিশবাহিনীর বহু হামলা-মামলা এবং কারানির্যাতনেরও শিকার হয়েছেন এ নেতা। কিন্তু তবুও মাথা নতো করেন নি তিনি। বরং আরও সাহসীকতার সাথে মাঠে সক্রিয় থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তোলেছেন। পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, কখনো মৃত্যুকে ভয় করেন নি। তাছাড়া বিনিময়ে দল থেকে কিছুই চান নি। শুধু নি:স্বার্থভাবে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের জন্য নিরলশভাবে কাজ করে গেছেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন আমিন এলাকার বাসিন্দা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজন। সেই ছোট বেলা থেকেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবেসে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। এরপর থেকে বিএনপির প্রতিটি মিটিং মিছিল ও সভা-সমাবেশে তার অংশগ্রহণ ছিলো চোঁখে পড়ার মত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী সকল আন্দোলনরত অবস্থায় রাজপথ থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রাজু। তাকে টেনে হেঁচরে নিয়ে যাওয়া হয় থানায় এবং সেখান থেকে কারাগারে। দীর্ঘ প্রায় বহুদিন বহুমাস কারানির্যাতনের পর জামিনে বের হয়ে এসে ফের রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একটাই যেভাবেই হোক প্রাণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসাতে হবে। এবং সেই লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে আজও পর্যন্ত রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন এ ত্যাগী ও সাহসী নেতা। কিন্তু দল কখনোই তাকে ঠিক তেমনভাবে মূল্যায়ন করেনি।

তবে ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তন হলে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার বিষয়টি দলটির শীর্ষ নেতা এমনকি দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে এসেছে। তিনি ইতোমধ্যে ত্যাগীদের মূল্যায়নের জন্য দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে জেলা ও মহানগর পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানাগেছে। তাই এবার সময় এসেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাজুদের মত ত্যাগী ও সাহসী নেতাদের মূল্যায়ন করার।

এ বিষয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, বিগত সময়ে বিএনপির সকল আন্দোলন-সংগ্রামে রাজুদের মত নেতাদের বহু ত্যাগ ছিলো। তারা নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা না করে দলের জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন এবং এখনও রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা জেনেছি, খুব শীঘ্রই নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন বন্দর থানার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। আমরা সেই কমিটিতে রাজুদের মত ত্যাগী ও সাহসী নেতাদের মূল্যায়ন দেখতে চাই। আমরা চাই, রাজুদের মত সাহসী ও ত্যাগী নেতাদের নেতৃত্বেই বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি দেয়া হোক। কারণ, তাদের মত ত্যাগী ও সাহসী নেতারা মূল্যায়ন পেলে দলে আরও ত্যাগী নেতা সৃষ্টি হবে, নেতাকর্মীরা আরও বেশি উৎসাহ পাবে। আর একটি দলের জন্য ত্যাগী নেতাদের গুরুত্ব অনেক বেশি। মূলত ত্যাগ নেতারাই দলকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দলকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তোলে। অপরদিকে হাইব্রিডরা কমিটিতে সুযোগ পেলে তা হলে দলের জন্য ক্ষতিকর। তাই ত্যাগীদের মূল্যায়নে হোক আগামীর কমিটি, আমরা এ আশা করি।

এ বিষয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাজু বলেন, কিছু পাওয়ার জন্য কিংবা পদ পদবীর আশায় কখনো রাজনীতি করি নি। শুধুমাত্র শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ভালোবেসে বিএনপি করি। এতে দল যদি মূল্যায়ন করে ভালো, আর যদি মূল্যায়ন না করে কোন সমস্যা নাই। বিএনপি করি, করেই যাবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই