সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তারা ছাত্রদলের কর্মসূচিতে মিছিল নিয়ে হামলা চালিয়েছে
ক্যাম্পসগুলোতে রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চায় ছাত্রদল
সংঘাত-সংঘর্ষ হলে ছাত্রলীগের উত্থান ঘটতে পারে
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মেহেদী হাসান ফারহান বলেছেন, গতকালকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে (কুয়েট) যে ঘটনাটা ঘটেছে প্রথমে আমি বলবো আমাদের ছাত্রদলের উপরে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসনাত আব্দুল্লাহ থেকে শুরু করে ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দরা এর দায়ভার আমাদের উপরে চাপিয়েছে। মূল বিষয়টা হচ্ছে কুয়েটে বিগত দিনে কোন রাজনৈতিক কমিটিই ছিলো না। সেখানে রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো। আমরা কিছুদিন আগেও দেখতে পেরেছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি দিয়েছে, ইসলামী ছাত্রশিবির কমিটি দিয়েছে। কিন্তু সেখানে ছাত্রদলের কোন কমিটি নাই।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকালে সরকারি তোলারাম কলেজ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্রদল চাচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক পন্থায় সুষ্ঠু রাজনীতি যেন ক্যাম্পসগুলোতে ফিরে আসে। গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার যে অধিকার রয়েছে সেই আলোকেই ছাত্রদল সারা বাংলাদেশে সদস্য সংগ্রহ ফরম কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারই আলোকে ছাত্রদল কুয়েট শাখার যারা নেতৃবৃন্দ রয়েছে, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অগ্রানাইজ করার জন্য সদস্য সংগ্রহ ফরমের কার্যক্রম শুরু করেছিলো। পরবর্তি সময়ে আমরা দেখতে পেলাম তারই পাশ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের একটি মিছিল যাচ্ছে। যদিও বলা হচ্ছে এঁরা সাধারণ শিক্ষার্থী। কিন্তু মূলত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তারা এ ব্যানার নিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলো। তখন ছাত্রদলের ওই নেতৃবৃন্দদের দেখে এঁরা হামলা করেছে। পরবর্তি সময়ে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখলাম, এ সংঘর্ষটা ছড়িয়ে পড়েছে। যেটা আমরা কাম্য করি না। এ অনাকাঙ্খিত যে ঘটনা ঘটেছে আমরা এটার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনায় যেই হোক, যে সংগঠনেরই হোক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেদী বলেন, আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান বলেছেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র অঙ্গিকারবদ্ধ। এবং সারা বাংলাদেশে ক্যাম্পসগুলোতে ছাত্রদল তার গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করছে। সুতরাং এ যে পরিকল্পিত ঘটনাগুলোর মধ্যদিয়ে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমরা এটারও নিন্দা জানাই। আমরা আমাদের বন্ধুপ্রতীমদের প্রতিপক্ষ মনে করি না, বরং রাজনীতিতে প্রতিযোগীতা মনে করি। আপনারা যদি প্রতিযোগীতা করুন, তাহলে আসুন। কিন্তু ছাত্রদলের বিরুদ্ধে এ নোংরা খেলা আপনারা বন্ধ করুন। আমরা চাই, প্রতিটা ক্যাম্পাসে সহবস্থান থাকবে এবং সবাই রাজনীতি করবে। কিন্তু এভাবে সংঘাত-সংঘর্ষ হলে ছাত্রলীগের একটা উত্থান ঘটবে। তারা সুযোগ পেয়ে যাবে। স্বৈরাচার বা ছাত্রলীগকে রুখতে হবে, এটার ব্যাপারে বাংলাদেশের সবাই একমত।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সরকার তোলারাম কলেজ ছাত্রদল নেতা আরিয়ান, সিয়াম, কামরুল, ইউসুফ, শাহিন, তানভীর প্রমূখ।