মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিশাল মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের র্যালিতে যোগদান করেছে মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১১টায় পশ্চিম দেওভোগ মাদরাসা এলাকা থেকে মিছিলটি বের করা হয়। এসময় শত শত নেতাকর্মীরা ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জাকির খানের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের এ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা দেওভোগ এলাকায়। পরে মিছিল বেশ কয়েকটি এলাকা প্রদক্ষিণ করে শহরের ২নং রেলগেটস্থ মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
আর আগে মিছিলপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কাঞ্চন আহমেদ বলেন, আজকের এই দিনটা একদিকে বেদনাবিধূর। আর একদিকে আমাদের শক্তি ও সাহস নিয়ে এগিয়ে চলার পথ প্রদর্শক। বাঙালি জাতির যা কিছু তার সবই রক্তের বিনিময়ে অর্জন করতে হয়েছে। সেই ৫২ থেকে ২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। সব ইতিহাসই রক্ত দিয়ে লিখা।
তিনি বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য আমরা আজ সেই রক্তকেই আমরা ভুলতে বসেছি। আমাদের এসব রক্তের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। এ ইতিহাসগুলোকে হৃদয়ে ধারণ করে আরও সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। এদেশকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন এ দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রাণ প্রিয় নেতা জাকির খানের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে আমরা সেদিন মাঠে ছিলাম। জাকির খান জেল থেকে সার্বক্ষনিক আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন এবং আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। শুধু জুলাই-আগস্টেই নয়, বিগত ষোলটি বছরই জাকির খানের নির্দেশে আমরা ছিলাম মাঠে। সেদিনও আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিলো না, আজও নেই। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, যে কোন কিছুর বিনিময়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এটাকে আমরা যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছি এবং এ যুদ্ধ আমাদের সেদিনই শেষ হবে যখন বাংলাদেশের সবচেয়ে ত্যাগী ও আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে পারবো। আমি সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমার সকল সহকর্মীদের কাজ করা আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাশীপুর ইউনিয়ন তারেক জিয়া প্রজন্ম দলের সভাপতি মো: সুমন, মো: সাইহান, মো: জামাল, মো: দেলোয়ার, মো: মোহন, মো: সালেহ, মো: উজ্জল, মো: মনা, মো: বাবু দেওয়ান, মো: আবুল হোসেন, মো: শান্ত, মো: জলিল, মো: মামুন, মো: রবিন প্রমূখ।