বিএনপির চরম দুর্দিনে মাঠে থেকে আওয়ামী লীগ ও পুলিশবাহিনীর বহু হামলার শিকার হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা যুবদল নেতা শিকদার বাপ্পী। হুমকি ছিলো প্রাণে মেরে ফেলার কিংবা গুম করে ফেলারও। তবুও মাথা নতো করেন নি তিনি। বরং আরও সাহসীকতার সাথে মাঠে সক্রিয় থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তোলেছেন। পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, কখনো মৃত্যুকে ভয় করেন নি। তাছাড়া বিনিময়ে দল থেকে কিছুই চান নি। শুধু নি:স্বার্থভাবে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের জন্য নিরলশভাবে কাজ করে গেছেন।
জানাগেছে, ফতুল্লা থানাধীন হোসাইনীনগর এলাকার বাসিন্দা শিকদার বাপ্পী। সেই ছোট বেলা থেকেই স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবেসে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। এরপর থেকে বিএনপির প্রতিটি মিটিং মিছিল ও সভা-সমাবেশে তার অংশগ্রহণ ছিলো চোঁখে পড়ার মত। বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে নানা কারণে গভীর ষড়যন্ত্রেরও শিকার হয়েছিলেন এ শিকার বাপ্পী। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য হত্যা মামলা সহ বিভিন্ন মামলার আসামী করা হয়। সেইসব মামলায় একাধীকবার কারানির্যাতিতও হন তিনি। কিন্তু এত কিছু করেও তাকে আটকিয়ে রাখা যায়নি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশ থেকে তাকে বিচ্যুত করানো যায়নি। ষড়যন্ত্রকারি ওই ফ্যাসিস্টদের রক্তচক্ষুকে ভয় করেন নি। তাদের সাথে আঁতাঁত করেন নি। বরং আরও শক্তিশালী রূপে মাথা উঁচু করে মাঠে থেকেছেন। স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক স্লোগান দিয়ে রাজপথ গরম রেখেছেন। কিন্তু দল কখনোই তাদের মত সাহসী ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করেনি।
তবে ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তন হলে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করার বিষয়টি দলটির শীর্ষ নেতা এমনকি দলটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে এসেছে। তিনি ইতোমধ্যে ত্যাগীদের মূল্যায়নের জন্য দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে জেলা ও মহানগর পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানাগেছে। তাই এবার সময় এসেছে সদর থানা যুবদল নেতা শিকদার বাপ্পীর মত ত্যাগী ও সাহসী নেতাদের মূল্যায়ন করার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিকদার বাপ্পী বলেন, কিছু পাওয়ার জন্য কিংবা পদ পদবীর আশায় কখনো রাজনীতি করি নি। শুধুমাত্র শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ভালোবেসে বিএনপি করি। এতে দল যদি মূল্যায়ন করে ভালো, আর যদি মূল্যায়ন না করে কোন সমস্যা নাই। বিএনপি করি, করেই যাবো।