শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
বিশেষ ঘোষণা :
সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিও পাল্টে যাচ্ছে ! তাই বদলাতে হচ্ছে আমাদেরও। আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন সিটি নিউজ পোর্টালের আপডেট ভার্সন। নতুন সাইটে আপনি আরো দ্রুততার সাথে ঝপটপ খবর পড়ে নিতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ছয় বার সাইট আপডেট করেছি। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ক্ষমা প্রার্থণা: ওয়েব সাইটটি আপডেট করার সময় পুরনো সাইটের কমবেশি ১০ শতাংশ খবর ”ডাটালস” এর কারণে কোনও পুরনো লিঙ্ক নাও খুলতে পারে। এটা একান্তই টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড। যে কারণে সিটি নিউজের সম্পাদকীয় বিভাগ আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সঙ্গে থাকুন।

ক্লিন ইমেজে সাখাওয়াত, সন্তুষ্ট নগরবাসী

মিলন বিশ্বাস হৃদয় / ৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

পাঁচ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও বেশ কিছু বিতর্কীত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিগত দিনে যারা মাঠে ময়দানে ছিলেন না কিংবা পদহীন নেতাকর্মীরা এ বিতর্কীত কর্মকান্ডে বেশি জড়িয়েছেন। এ নিয়ে দলটির পক্ষ থেকে শক্ত অবস্থান নেয়া হলেও একেবারে পুরোপুরি থামানো যায়নি এ কর্মকান্ড। ফলে দল থেকে বহু নেতা বহিস্কারের খাতায় নামও লিখিয়েছেন। আবারও কেউ কেউ গ্রেফতারও হয়েছেন।

জানাগেছে, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে হাট-ঘাট বিভিন্ন সেক্টর দখলে মেতে উঠে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা। এসব সেক্টর দখল করতে গিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন তারা। সেই সব সংঘর্ষে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার এবং গুলি ছুড়তেও দেখা গেছে তাদের। এসব ঘটনায় একাধীক নেতাকর্মী আহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে যৌথবাহিনী। বর্তমানে এ ঘটনা কমে আসলেও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। এখনও বহুনেতা দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত বলে জানাগেছে।

তবে এখন পর্যন্ত এসমস্ত সকল বিতর্কীত কর্মকান্ড থেকে নিজেকে পুরোপুরি বাইরে রেখেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। ৫ আগস্টের আগে পরে কোন ধরনের বিতর্কে জড়াননি তিনি। যেন শুধু নি:স্বার্থভাবে দলের জন্য কাজ করে চলেছেন তিনি।

মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বিএনপির চরম দুর্দিনে মাঠে থেকে আওয়ামী লীগ ও পুলিশবাহিনীর বহু হামলা মামলার শিকার হয়েছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। হুমকি ছিলো প্রাণে মেরে ফেলার কিংবা গুম করে ফেলারও। কিন্তু তবুও মাথা নতো করেন নি তিনি। বরং আরও সাহসীকতার সাথে মাঠে সক্রিয় থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তোলেছেন। পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, কখনো মৃত্যুকে ভয় করেন নি। তাছাড়া বিনিময়ে তখন দল থেকে কিছুই চান নি। শুধু নি:স্বার্থভাবে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের জন্য নিরলশভাবে কাজ করে গেছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে শহরে বৈশাখী শোভাযাত্রা

 

দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তিনি বিএনপির পক্ষে কাজ করেছিলেন বলে তার ছেলেকে গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। সেদিন তিনি আদালতপাড়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন। তার আত্মচিৎকারে সেদিন আদালতপাড়ার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আসছিলো। তবুও তাকে দমানো যায়নি। পরে প্রশাসন বাধ্য হয়েছিলো তার ছেলেকে ছেড়ে দিতে। আমরা এগুলো ভুলি নাই। আজকের সাখাওয়াত তিনি এভাবেই হন নাই। তাকে আজকের এ পজিশনে আসার জন্য বহুত্যাগ তিতিক্ষা এবং বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পাড় করে আসতে হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা এসব কিছু জানে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, তার মত ত্যাগী নেতাকে দল কখনোই অবমূল্যায়ন করবেন না।

 

আরও পড়ুন: সাখাওয়াত-টিপুতেই আস্থা, পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে কমিটি!

 

সাখাওয়াত সর্ম্পকে নগরবাসীর ধারণা, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান মূলত একজন ‘জেন্টেলম্যান।’ আর তাই তার কথাবার্তা থেকে শুরু করে আচরণেও রয়েছে একধরণের আভিজাত্য। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও কোন ধরণের বির্তক পছন্দ করেন না। তিনি সবসময়ই জনগণের কাছে তার ভাবমুর্তি উজ্জ্বল রাখার চেষ্টা করেন। আর তাই মানুষ তাকে খারাপ বলুক, এ ধরনের কাজকর্ম থেকে তিনি সর্বদাই নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। তার জলন্ত প্রমাণ, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যেখানে বিএনপি একশ্রেণীর নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলো। পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে সকলস্থানে তারা দখলবাজী ও চাঁদাবাজীতে মেতে উঠেছিলো। এবং এসব বিতর্কীত কর্মকান্ডের কারণে জেলা ও মহানগর বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। সেখানে সাখাওয়াত হোসেন খানরা ছিলেন সকল প্রশ্নের বাইরে। তারা কোন ধরনের বিতর্কীত কর্মকান্ডের সাথে না জড়িয়ে দৃষ্টান্ত হয়ে থেকেছেন। যার ফলে দিন যতই বাড়ছে সেইসাথে বাড়ছে তার জনপ্রিয়তা। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আজ তার ওপর আস্থা রাখতেও শুরু করেছে। আসলে নারায়ণগঞ্জে এ ধরণের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ খুবই প্রয়োজন। সাখাওয়াত হোসেন খানরা নেতৃত্বে থাকলে কিংবা তাদের মত নেতারা জনপ্রতিনিধি হলে সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি তিনি যে দলের অনুসারী সেই দলেরও ভাবমুর্তি সর্বদা উজ্জ্বল থাকবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

বিভাগীয় সংবাদ এক ক্লিকেই